ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের ছেলে হলের আবাসিক এক শিক্ষার্থীকে ‘দুই টাকার ছাত্র’ বলেছে। এমন অভিযোগে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। বিকালেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন এই অধ্যাপক।
ওই প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবিতে হল অফিস প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন তারা। এসময় ছেলেসহ ওই প্রভোস্ট অবরুদ্ধ ছিলেন। পরে পদত্যাগ পত্র হাতে নিয়ে অধ্যাপক মিজানুর রহমান প্রক্টরিয়াল টিমের সাহায্যে হল ত্যাগ করেন।
হলের একজন আবাসিক শিক্ষক এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এসময় ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকও উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিজানুর রহমানের ছেলে শুক্রবারে জুমার নামাজ পড়তে যান। সামনের কাতারে যেতে গিয়ে তিনি রায়হান নামে এক ছাত্রের মাথায় পা লাগান। পরে নামাজ পড়া শেষে শিক্ষার্থী রায়হান তার পরিচয় জানতে চান। এসময় হল প্রভোস্টের ছেলে তার বাবাকে ডেকে আনেন। বাবার উপস্থিতিতেই ওই ছাত্রকে তিনি বলেন ‘দুই টাকার ছাত্র হয়ে আমার পরিচয় জানতে চাচ্ছে।’
এ কথায় ক্ষুব্ধ হয়ে হলের সব শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে হল প্রভোস্ট ও তার ছেলেকে হল অফিসে আটকে বিক্ষোভ করতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা আজকের মধ্যেই তার পদত্যাগ দাবি করেন। এসময় তিনি পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন। একটি পদত্যাগ পত্র লিখে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসায় গেছেন বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জানতে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে ফোন দিলে তার মেয়ে পরিচয়ে একজন ফোন ধরেন। তিনি বলেন, ‘বাবা এইমাত্র বাসায় ফিরেছেন। সারাদিন তিনি খাওয়া-দাওয়া করেননি। পরে তিনি অবশ্যই আপনাকে কল ব্যাক করবেন।’
হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও আসন্ন ডাকসু হল সংসদের ভিপি পদপ্রার্থী শাহরিয়ার সিদ্দিক শিশিম বলেন, ‘হল প্রাধ্যক্ষের ছেলে শিক্ষার্থীদের দুই টাকার ছাত্র বলেছে। আমি হলের ভিপি পদপ্রার্থী হিসেবে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদ জানাই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি প্রভোস্টের পদত্যাগ করতে হবে। তাদের দাবির সঙ্গেও আমি একমত।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘এমন একটি ঘটনা ঘটছিল। সেখানে প্রক্টরিয়াল টিম ছিল। পরে যে অভিযুক্ত সে ক্ষমা চেয়েছে বলে আমি জানি।’