নিউজ ট্রেইলার : শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে এমন উপজেলাগুলোতে আগে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে সমস্ত এলাকায় পিসফুল কন্ডিশন প্রতিয়মান হচ্ছে, ওই সমস্ত জেলা এবং উপজেলাগুলোতে আগে ভোট নিতে চাই।
আজ রোববার সকালে আগারগাঁওস্থ ইটিআই ভবনে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ এবং ইভিএম ব্যবহারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শীর্ষক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।ইসি সচিব বলেন, গ্রেটার কুমিল্লা, নোয়াখালী এরপর চট্টগ্রাম জেলা এগুলোতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেকগুলো কেন্দ্রে গণ্ডগোল হয়েছে। সুতরাং আমরা ওগুলো পরে করবো। যেসব পিসফুল এলাকা ওইগুলোতে আগে থেকে শুরু করবো।তিনি বলেন, পার্বত্য তিন জেলায় আমরা একত্রে নির্বাচন করবো। যেহেতু ওখানে কিছু সন্ত্রাসী গ্রুপ আছে। তিন পার্বত্য জেলা একত্রে করলে আমরা শেষ করতে পারবো। এইভাবে আমরা একটি পরিকল্পনা করেছি। আজকে (রবিবার) আমরা কমিশন সভায় উপস্থাপন করবো। তারা অনুমোদন করলে এ বিষয়ে আপনাদের জানিয়ে দেবো।হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল (বিএনপি) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না, এজন্য দল থেকে একজনকে নোমিনেশন দিলেও দলের বাইরে থেকে অনেকেই কিন্তু নির্বাচন করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবে। ভাইস চেয়ারম্যান অনেকটা ওপেন। দলীয় প্রতীক যেহেতু দিচ্ছে না, স্বাভাবিকভাবেই অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান এমনকি ভাইস চেয়ারম্যান পদে দাঁড়াবে। এজন্য এবারের নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে।তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজকেই প্রথম পর্যায়ের যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে তার তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে, পাঁচটি ধাপে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম চারটি ধাপ মার্চের মধ্যেই শেষ করতে চাই।ইসি সচিব আরো বলেন, সদর উপজেলা পরিষদে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সদর উপজেলার প্রত্যেকটা কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এতদিন আমাদের বিধিমালা ছিল না। পরিপত্রের মাধ্যমে এ পর্যন্ত যতগুলো করেছি জাতীয় সংসদ ছাড়া সিটি করপোরেশনগুলোতে পরিপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহার করেছি। এবার আমরা ইভিএম ব্যবহার করতে চাই উপজেলা পরিষদে। ব্যবহার করতে গেলে ইভিএম বিধিমালা প্রণয়ন করা দরকার। ইতোমধ্যে কমিশন বিধিমালাটি অনুমোদন করেছেন। আমরা শিগগিরই এটা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। ওখান থেকে ভেটিং হয়ে আসলে এটা ব্যবহারে আমরা আইনগত ভিত্তি পেয়ে যাবো।