নিউজ ট্রেইলার : বিদেশ থেকে স্বর্ণ আমদানি ও বিক্রির জন্য ‘স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮’ চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নীতিমালার বিস্তারিত শিগগির প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।নীতিমালা অনুযায়ী, অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক, ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, যৌথ মালিকানায় বা লিমিটেড কোম্পানি ‘অনুমোদিত স্বর্ণ পরিবেশক’ হওয়ার আবেদন করতে পারবেন।
পরিবেশক হতে আগ্রহী ব্যবসায়ীদের পাঁচ লাখ টাকা ফি জমা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। স্বর্ণ আমদানি ও ব্যবসা করার জন্য প্রত্যেক উদ্যোক্তার এক কোটি টাকা মূলধন থাকতে হবে। এই পরিমাণ অর্থ থাকলে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরেই আবেদন করা যাবে।নীতিমালায় বলা হয়েছে, আমদানিকারকরা মাসের শুরুতে স্বর্ণের হিসাব মূসক কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করবেন। স্বর্ণমান যাচাইয়ের জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে হলমার্ক ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং খাদের পরিমাণ সুনির্দিষ্ট করতে হবে।ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য বিক্রয় ক্যাশ মেমোর সঙ্গে স্বর্ণ অলঙ্কারের হলমার্ক স্টিকার বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে। ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে ভোক্তা সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনগুলো কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। লাগেজে একশ’ গ্রাম পর্যন্ত বিনা শুল্কে স্বর্ণ আনা যাবে। আর ২৩৪ গ্রাম পর্যন্ত শুল্ক দিয়ে আনা যাবে।জানা গেছে, দেশে বর্তমানে ২০ থেকে ৪০ মেট্রিক টন স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে ৮০শতাংশই আসে চোরাচালানের মাধ্যমে। বাকি ২০ শতাংশ স্বর্ণ আসে পুরোনো ব্যবহৃত অলঙ্কার থেকে।চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ আসতে থাকায় সরকার বিপুল অংকের রাজস্ববঞ্চিত হচ্ছে। এভাবে স্বর্ণ আসায় অর্থপাচার ও কালো টাকা ব্যবহার হচ্ছে বলেও জানা যায়।
২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর মন্ত্রিসভা প্রথমবারের মত স্বর্ণ আমদানি-রপ্তানি নীতিমালার এ খসড়া অনুমোদন করে। নীতিমালার আলোকে স্বর্ণ ব্যবসা পরিচালিত হলে এই ব্যবসায় অর্থপাচার রোধ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।