২৫ রোজার মধ্যে বেতন ও শতভাগ ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধ

0 169

 

২৫ রোজার মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের চলতিসহ বকেয়া বেতন ও শতভাগ ঈদ বোনাস পরিশোধ, সাধারণ ছুটি ও করোনা দুর্যোগের মধ্যে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বে-আইনি শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল, আইন ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী মালিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে শ্রমিকদের প্রাপ্য পাওনা পরিশোধ, সকল শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা, করোনা সংক্রমিত শ্রমিকের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা, করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকের চিকিৎসা ব্যয় ও সর্বোচ্চ ক্ষতিপুরণ নিশ্চিত করার দাবিতে এবং মজুরি কর্তন ও শ্রমিক নির্যাতনের প্রতিবাদে প্রতীকী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা।

শনিবার (১৬ মে) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতীকী মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা সংক্রমণের পূর্ব পর্যন্ত গার্মেন্টস মালিকরা একচ্ছত্রভাবে নিজেদের বাংলাদেশের শ্রমিক আর অর্থনীতির উদ্ধার কর্তা হিসাবে দাবি করে রাষ্ট্রের কাছ থেকে সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেছে। বছরের পর বছর ধরে প্রণোদনার নামে রাষ্ট্রের অর্থ লোপাটকারী এই মালিকরা দুর্যোগ মূহুর্তে শ্রমিকদের বাঁচাতে এক মাসের দায়িত্বও নেয়নি বরং করোনাকে অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করে কিভাবে শ্রমিকদের আরও বেশি বঞ্চিত করা যায় সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য মার্চ মাসে মাত্র ২ শতাংশ সুদে ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ বরাদ্দ নিয়েও শ্রমিকদের এপ্রিল মাসের বেতনের ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কর্তন করা হচ্ছে। হিসাবের মারপ্যাচে কোথাও কোথাও আরও বেশি বেতন কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। অধিকাংশ কারখানায় এপ্রিল মাসের বেতন এখনও পরিশোধ করেনি। বারবার সময় নেওয়ার পরও কয়েকশত কারখানার হাজার-হাজার শ্রমিকের মার্চ মাসের মজুরি আজও বকেয়া আছে। শ্রমমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে মালিকরা শ্রমিক ছাঁটাই করা হবে না, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া এবং করোনা সংক্রমিত শ্রমিকের দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও বিভিন্ন অজুহাতে শ্রমিক ছাঁটাই অব্যাহত রেখেছে, পিসরেট শ্রমিকদের কর্মহীন সময়ে বেসিক মজুরি দেওয়ার চুক্তি থাকলেও কোন মজুরি পরিশোধ করা হচ্ছে না, শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সকল কারখানায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি, করোনা সংক্রমিত শ্রমিককে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে হোম কোয়ারেন্টাইনের নামে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে দায়মুক্ত হচ্ছে, করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত পোশাক শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের কোন ঘটনা এখনো ঘটেনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.